ব্লগ

ভিপিএসে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন ডিজেবল করার ধাপ সমূহ

সাধারনত ভিপিস এ ssh key দিয়ে এক বা একাধিক মেশিন থেকে এক্সেস এনাবল করা থাকলে অন্য কোন মেশিন ( যা ssh key এনাবল নয় ) থেকে এক্সেস করতে গেলে পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনভেদে বাড়তি সিকিউরিটির জন্য ভিপিএস এ পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন ডিজেবল করার দরকার হতে পারে, সেক্ষেত্রে ভিপিএস কনফিগারে যারা আমার মতো একেবারেই নতুন – তারা এই টিউটরিয়ালটি অনুসরন করতে পারেন।

ধাপ ১: প্রথমেই আমাদের নিশ্চিত হতে হবে আমরা পাসওয়ার্ড ছাড়া আমাদের মেশিন থেকে ssh key ( ~/.ssh/id_rsa.pub ) এর মাধ্যমে ভিপিএস এ এক্সেস করতে পারছি।

ধাপ ২: nano /etc/ssh/sshd_config কমান্ড দিয়ে ন্যানো এডিটরের মাধ্যমে /etc/ssh/sshd_config ফাইলটিকে এডিট করবো। #PasswordAuthentication yes এর লাইনটিকে এডিট করে PasswordAuthentication no করে সেইভ করি।

Continue reading “ভিপিএসে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন ডিজেবল করার ধাপ সমূহ”

কিভাবে ভিপিএসে SSH Key যুক্ত করার পর পাসওয়ার্ড ছাড়াই ভিপিএস এক্সেস করা যায়?

আমি আমার ওয়েবসাইটগুলোর জন্য সাধারনত cPanel বেইজড হোষ্টিং সার্ভার ব্যবহার করে অভ্যস্থ। রিসেন্টলি VPSDime এর একটা বিশেষ অফারে ছোট একটা প্যাকেজ কিনি, যাহাতে এই ভিপিএসটিতে প্রাথমিক কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে ধীরে ধীরে cPanel বেইজড হোষ্টিং সার্ভার ব্যবহার করার পরিবর্তে সকল সাইটগুলো ভিপিএস সার্ভারে নিয়ে যেতে পারি।

আমি এই টিউটরিয়ালটি লেখা এবং ভিপিএস সার্ভার কনফিগারের অভিজ্ঞতার জন্য যে ডেস্কটপটিতে বা মেশিনটিতে কাজ করছি তাতে লিনাক্স মিন্ট অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ দেয়া আছে। আমি আশা করছি, ডেবিয়ান বেইজড যে কোন লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে থেকেই এই টিউটরিয়ালটি ফলো করে কাজ করতে পারবেন। চলুন কিভাবে ভিপিএসে SSH Key যুক্ত করার পর পাসওয়ার্ড ছাড়াই ভিপিএস এক্সেস করতে পারি তা ধাপে ধাপে বর্ননা করি –

ধাপ ১: ভিপিএস সার্ভারে ssh key যুক্ত করার জন্য প্রথমে আমাদের মেশিনে ~/.ssh/id_rsa.pub ফাইলটি আছে কি-না তা জানতে হবে। যদি থাকে টারমিনালের একটি ট্যাবে cat ~/.ssh/id_rsa.pub কমান্ডটি রান করে ফাইলে থাকা কন্টেন্টগুলো দেখতে পাবো। এবার এই কন্টেন্টগুলো কপি করে নেই।

Continue reading “কিভাবে ভিপিএসে SSH Key যুক্ত করার পর পাসওয়ার্ড ছাড়াই ভিপিএস এক্সেস করা যায়?”

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমির চাষ এবং সফলতার গল্প

২০০২ সালের জুলাই মাসে চাকরী ছেড়ে আমার গুরুর সাথে দেখা করতে গেলাম। আমার গুরু রম্য ভাই জিজ্ঞেস করল কি করবি? বললাম বন্যপ্রাণী নিয়ে কিছু করবো। ধানমণ্ডি আট নাম্বার ব্রিজের দক্ষিণ দিকে দাঁড়িয়ে দুইজনে সিগেরেট খাচ্ছিলাম। গুরু বললো কুমিরের ফার্ম কর। কথাটা পছন্দ হলো। এখনকার সাম্পান রেস্টুরেন্ট এর পাশে তখন একটা সাইবার ক্যাফে ছিল, ওখানে বসে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম। সেই শুরু বাংলাদেশের প্রথম কুমিরের ফার্মের।

আমি কখনো বায়োলজি পড়াশুনা করিনি। কিন্তু সুন্দরবনে গাইড হিসাবে কাজ করার সুবাদে অনেক প্রাণী বিজ্ঞানীকেই চিনতাম। কুমিরের ফার্মের চিন্তা মাথায় ঢোকার পর প্রথমেই গেলাম আনিস ভাইয়ের কাছে। আনিস ভাই আমাকে লাঞ্চ করতে নিয়ে গেলেন আর প্রাথমিক ধারনা দিলেন। ডঃ রেজা খান সারের কথা বললেন, রমুলাস হুইটেকার এর কথা বললেন, আর বললেন কোথায় নিয়ম কানুন গুলো জানা যাবে।

আনিস ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর আমার উৎসাহ আরো বেড়ে গেলো। যোগাযোগ করলাম রেজা খান স্যার এর সাথে। রেজা খান স্যার কে আমি ই-মেইল এ নানা রকম প্রশ্ন করি, উনি উত্তর দিতেন। ইন্টারনেট এ ঘাটাঘাটি করে CSG (Crocodile Specialist Group) এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করলাম।এই যোগাযোগের উপর ভিত্তি করেই ২০০২ সালের নভেম্বর নাগাদ একটা business plan দাঁড় করিয়ে ফেললাম। হিসাব করে দেখলাম আমার প্রয়োজন এক মিলিয়ন ডলার আর ১৪/১৫ একর জমি। রেজা খান স্যার একটা স্কেচ পাঠালেন, কুমীরের বাণিজ্যিক ফার্মে কি কি থাকতে হবে তার লিস্ট দিয়ে। ঐ সময়ে USAID এর একটা প্রোজেক্ট agro business plan competition আয়োজন করে। ওখানে বলা ছিল প্রথম দশজনকে পরকল্পনা বাস্তবায়নে USAID সহায়তা করবে।

Continue reading “বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমির চাষ এবং সফলতার গল্প”

ভূমি জরিপ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও সংজ্ঞা

ভূমি জরিপ 

জরিপ আইনের সংজ্ঞা মতে- মৌজা ভিত্তিক ভূমির রেকর্ড তথা খতিয়ান ও নকশা প্রস্তুতের কার্যক্রমকে ভূমি জরিপ বলে।

নকশা 

কোনো মৌজার অন্তর্ভূক্ত ভূমির বাস্তব চিত্র হলো উক্ত ভূমির নকশা।

মৌজা 

ভূমি জরিপের একটি ভৌগলিক ইউনিট কে মৌজা বলে। একটি মৌজা আনুমানিক ভাবে একটি গ্রামের সমান বা এর চেয়ে কিছুটা ছোট বড় হয়। ক্যাডাষ্ট্রাল সার্ভের (সি.এস.) সময়ে এক একটি মৌজা এলাকাকে পৃথকভাবে পরিচিত নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশে মোট মৌজার সংখ্যা হচ্ছে ৬৯,৯৯০টি।

Continue reading “ভূমি জরিপ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও সংজ্ঞা”

ভূমি জরিপের খুটিনাটি

ভূমি জরিপ বা ল্যান্ড সার্ভে একটি টেকনিক্যাল কার্যক্রম। এর সাহায্যে একটি এলাকার বা নির্দিষ্ট ভূমিখন্ডের একটি নির্দিষ্ট স্কেলে নির্দিষ্ট মানের কাগজে পরিমাপ গ্রহণক্রমে এর অবস্থান, আয়তন ও সীমানা নির্ণয় করা হয়। এরূপ কার্যক্রম এর মাধ্যমে একটি মৌজার নকশা তেরি হয় এবং পরবর্তীতে এর উপর ভিত্তি করে ভূমি খন্ডের দখল ও মালিকানার বর্ণনা নিয়ে একটি খতিয়ান প্রণীত হয়। এ দু’টো মিলে রেকর্ড অব রাইট বা স্বত্বলিপি প্রস্তুত হয়। ভূমি জরিপ সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা না গেলে সরকারের জমি যেমন অবৈধ দখল হয়ে যেতে পারে, তেমনি ব্যক্তিগত জমির ক্ষেত্রে জমির মালিকানা সমস্যা হতে পারে। যা জাতীয় ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা হিসেবে ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে।

ভূমি জরিপের উদ্দেশ্যঃ

জরিপ কার্যক্রম সাধারণত জেলাভিত্তিক পরিচালনা করা হয়। জেলার বা সুনির্দিষ্ট কোন এলাকা বা মৌজার প্রত্যেক ভূখন্ড সরেজমিনে পরিমাপ করে নির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে এর অবস্থান এাবং আয়তন সম্বলিত একটি মৌজা নকশা প্রণয়ন করে প্রত্যেক ভূখন্ডের মালিক, দখলদার, জমির পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ, জমির শ্রেণী এবং চৌহদ্দি নির্দেশক রেকর্ড বা খতিয়ান প্রণয়ন করাই জরিপ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। নতুন মৌজা নকশা প্রণয়ন এবং জমির মালিকানা জমির বিবরন সম্বলিত খতিয়ান প্রণয়ন করা জরিপের অন্যতম কাজ।

Continue reading “ভূমি জরিপের খুটিনাটি”

জমির প্রকৃত মালিকানা যাচাইকরণ

জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতার অবশ্য জমির প্রকৃত মালিকানা যাচাই করা প্রয়োজন। কারন অনেকে সময় লক্ষ্য করা যায়, জমি ক্রয় করার পর তা দখলে যাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। কারণ হিসেবে দেখা গেছে জমির বর্তমান দখলকারী যিনি বিক্রি করছেন তিনি আসলে প্রকৃত মালিক নন। অথবা, জমির সম্পূর্ণ বা পুরো মালিক বিক্রেতা নয়। এরকম কিছু বিষয় এড়ানো জন্য এবং খুব বড় পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আগেই জমির প্রকৃত মালিকানা যাচাইকরণ আপনার জানা অব্যশই বাধ্যতামূলক।

জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রেতার নিকট হতে প্রাপ্ত মালিকানা সম্পর্কীয় দলিলাদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বিক্রেতার বর্তমান মালিকানা কিভাবে প্রাপ্ত এবং কতটুকু তা আপনার জানা প্রয়োজন। বিক্রেতা যদি ওয়ারিশসূত্রে সম্পত্তির মালিক হয়, তাহলে তার পূর্বশুরিদের অর্থাৎ পূর্ববর্তী মালিকদের ধারাবাহিক ও বংশানুক্রমিক একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। তালিকা তৈরির পর, পূর্ববর্তী মালিকদের বৈধ মালিকানা যাচাই করতে হবে। পূর্ববর্তী মালিকদের মালিকানা অতীত সময়ের কোন পর্যায়ে মালিকানা সংকুচিত বা মালিকানা খর্ব হয়েছে কি না যাচাই করতে হবে। জমির প্রারম্ভিক মালিক থেকে বর্তমান মালিক পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয়, ওয়ারিশ, দান বা হেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলো যাচাই করে দেখতে হবে।

Continue reading “জমির প্রকৃত মালিকানা যাচাইকরণ”

কবিতাঃ প্রার্থনা

অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি

বিচার দিনের স্বামী।

যত গুণগান হে চির মহান

তোমারি অন্তর্যামী।

দ্যুলোক-ভূলোক সবারে ছাড়িয়া

তোমারি চরণে পড়ি লুটাইয়া

তোমারি সকাশে যাচি হে শকতি

তোমারি করুণাকামী।

Continue reading “কবিতাঃ প্রার্থনা”