নোট
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যে লেনদেনের ফল দীর্ঘস্থায়ী তাকে মূলধনজাতীয় লেনদেন বলে। কোন কারবার প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের লেনদেনগুলোকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক. মূলধনজাতীয় লেনদেন খ. মুনাফাজাতীয় লেনদেন
মূলধন জাতীয় লেনদেন আবার দুই রকম:
১. মূলধনজাতীয় প্রাপ্তি/আয়
২. মূলধনজাতীয় ব্যয়
মূলধনজাতীয় প্রাপ্তি: যে সব প্রাপ্তি স্থায়ী ধরনের ও দীর্ঘ মেয়াদী সময়ের জন্য পাওয়া যায় হয় এবং যে সব প্রাপ্তিগুলো সাধারণত নিয়মিত বা বারবার পাওয়া যায় না সেসব প্রাপ্তি গুলোকে মূলধনজাতীয় প্রাপ্তি বলে৷
যেমন: মালিকের মূলধন, ঋণ গ্রহণ , ঋণপত্র ইস্যু, স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ, সরকারি অনুদান ইত্যাদি।
মূলধনজাতীয় আয়: যেসব আয় কারবারের স্বাভাবিক আয় নয় এবং যে আয়গুলো সাধারণত বারবার বা নিয়মিত অর্জিত হয় না সে আয়গুলোকে মূলধনজাতীয় আয় বলে৷ এই আয়গুলো উদ্বৃত্তপত্রে/ আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে দায়ের দিকে উপস্থাপিত হয়।
যেমন: অধিহারে শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ, স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয় হতে লাভ, অধিহারে ঋণপত্র বিক্রয়লব্ধ অর্থ, আসবাবপত্র বিক্রয় হতে লাভ ইত্যাদি।
মূলধনজাতীয় ব্যয়: যে ব্যয়গুলো সাধারণত স্থায়ী সম্পত্তি অর্জনে ব্যয় হয় এবং যে সব ব্যয়ের ফলাফল কারবারে দীর্ঘমেয়াদে বিরাজ করে সেগুলোই মূলধনজাতীয় ব্যয়।
যেমন: ভূমি ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয়, দালান কোঠা ক্রয়, যন্ত্রপাতি ক্রয়, মোটর গাড়ি ক্রয়, সদ্য ক্রয়কৃত পুরাতন যন্ত্রপাতির মেরামত ব্যয়, পুরাতন ট্রাকের জন্য নতুন টায়ার ক্রয় ইত্যাদি৷