নোট
ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা (আদমশুমারি) ২০২২ এর ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৯১.০৪% মুসলমান, ৭.৯৫% হিন্দু, ০.৬১% বৌদ্ধ, ০.৩০% খ্রিষ্টান এবং ০.১২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। পক্ষান্তরে ২০১১ সালে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার এ হার ছিল যথাক্রমে ৯০.৩৯%, ৮.৫৪%, ০.৬২%, ০.৩১% ও ০.১২%। এছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ১.০০%। পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ১.০১% এবং মহিলার ক্ষেত্রে ০.৯৯%। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জনসংখ্যার ২.৯৯% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যা সকল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ হার বরিশাল বিভাগে ০.০৫% যা সর্বনিম্ন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ২৩,৬১,৬০৪ জন (১.৪৩%) এর কমপক্ষে এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। মোট পুরুষের ১.৬৩% এবং মোট মহিলার ১.২৩% এর কমপক্ষে এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। সর্বাধিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে (১.৭৭%) এবং সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ঢাকা বিভাগে (১.০৮%)। পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে (পুরুষ ২.০৩% ও মহিলা ১.৫২%) এবং উভয় ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ঢাকা বিভাগে (পুরুষ ১.১৯% ও মহিলা ০.৯৫%)।
২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৪.৬৬%, যা পল্লী এলাকায় ৭১.৫৬% এবং শহর এলাকায় ৮১.২৮%। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬%, মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২% এবং হিজড়াদের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫%। মোট সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮.০৯% এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭.০৯%। ২০১১ সালে মোট সাক্ষতার হার ছিল ৫১.৭৭% যার মধ্যে বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ (৫৬.৭৫%) এবং সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন (৪৫.০১%) হার পাওয়া যায়।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজা ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যা থাকায় ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ছিল। তবে উক্ত আদমশুমারিতে সংগৃহীত তথ্যের মানদণ্ড হিসেবে ১৫ জুন ২০২২ তারিখটি ব্যবহৃত হয়েছে। দশ বছর পর পর আদমশুমারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী, সিলেটে বন্যা এবং সরঞ্জামের অভাবের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে এই আদমশুমারি বিলম্বিত হয়েছে।