নোট
লর্ড রিপন প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করেন রায়তদের অবস্থা উন্নতির জন্য।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত জমিদারকে ভূমির একমাত্র মালিক বলে ঘোষণা করলেও রায়তের অধিকার সম্পর্কে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের রেগুলেশন ছিল নিরব। তবে রেগুলেশনে ভূমিতে প্রজার প্রথাগত অধিকার রয়েছে মর্মে অস্পষ্ট আভাষ ছিল মাত্র। উনিশ শতকের প্রথমদিকে কৃষকের চেয়ে ভূমির সরবরাহ বেশি থাকায় প্রজার ওপর জমিদারদের উৎপীড়ন তেমন লক্ষ্য করা যায় যায় না। কিন্তু উনিশ শতকের শেষপর্বে এসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ভূমির ওপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং জমিদার-রায়ত সম্পর্কের ওপর এর স্বাভাবিক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ভূম্যধিকারী শ্রেণীর মধ্যে ভূমির চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগে খাজনার হার বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু রায়তশ্রেণী জামিদারদের এরূপ প্রবণতাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে এ যুক্তিতে যে, ভূমিতে তাদের প্রথাভিত্তিক অধিকার রয়েছে এবং তা ক্ষুণ্ণ করার অধিকার জমিদারের নেই।